শেরপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে দ্বিতীয়বারের মতো বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের
সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমানকে দলীয় সকল পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ওই সিদ্ধান্তকে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও রাজনৈতিক
মূর্খতার শামিল বলে দাবি করেছেন হুমায়ুন কবীর রুমান। ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে শহরের খরমপুর এলাকায় তার নির্বাচনী অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত
বক্তব্যে এ দাবি করেন তিনি।
জানা গেছে, শেরপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয়বারের মতো দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। অপরদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আলহাজ্ব ফখরুল মজিদ খোকন জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭(১১) ধারা অনুযায়ী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করায় গঠনতন্ত্র মোতাবেক এমনিতেই বহিষ্কৃত হয়েছেন হুমায়ুন কবীর রুমান। তাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিকের সভাপতিত্বে দলের এক সভা আহবান করে তাকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের ৭১ জন সদস্যের মধ্যে ৫৪ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এখানে গঠনতন্ত্রের বাইরে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
লিখিত বক্তব্যে রুমান বলেন, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ (৭ ও ৮) এর উপধারা লঙ্ঘন করে মনগড়াভাবে তার উপর ৪৭ (১১) ধারা প্রয়োগ করা হয়, যা আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি আরও বলেন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। অথচ একজন রাজাকারপুত্র মামুনের সাক্ষরে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা দেখে শেরপুরবাসী বিস্মিত। মামুন হুইপ আতিউর রহমান আতিকের এপিএস হিসেবেও কাজ করছেন। হুইপ আতিউর রহমান আতিক নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। হুইপ আতিক যাতে শেরপুরে অবস্থান করতে না পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল খালেক, নির্বাহী সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শামছুন্নাহার কামাল, জেলা যুবলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল কাদের, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান সম্রাটসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।